মোঃ মুজাহিদুল ইসলামঃ

প্রিয় পূবাইল থানার এলাকাবাসী এবং সম্মানিত সাংবাদিক ও সামাজিক নেত্রীবৃন্দ, আপনারা আমার সামান্য কাজকে স্বীকৃতি দিয়ে আমাকে ধন্য করেছেন। আপনাদের সবাইকে অকৃত্রিম ধন্যবাদ জানাচ্ছি। আমি আপনাদেরই একজন। আমাদের থানা এলাকায় বেশ কিছু সমস্যা আছে যা আমি থানার নথিপত্র পর্যালোচনা করে চিহ্নিত করেছি। এ সকল সমস্যার সমাধানে আপনাদের সহযোগিতা আমার একান্ত কাম্য। প্রধান সমস্যার মধ্যে আছে- মাদকের ছয়লাব, চুরি, দস্যুতা ( ছিনতাই), ডাকাতি প্রভৃতি। উল্লিখিত অপরাধের সূত্র অনুসন্ধান করতে গিয়ে লক্ষ্য করছি যে, এসব অপরাধের কারণ হচ্ছে- মাদক। মাদক সেবিরা মাদকের অর্থ জোগাড় করতে গিয়ে চুরি, ছিনতাই ও ডাকাতির মতো অপরাধ করে। বলাবাহুল্য পূবাইল থানায় ০১ জন ওসি, ০৫ জন এসআই, ০৬ জন এএসআই এবং ৩৮ জন কনস্টেবল কর্মরত আছে। তন্মধ্যে কতিপয় ছুটিতে থাকায় থানায় নিয়মিত কর্মরত অফিসার ৪২/৪৩ জন অফিসার ও ফোর্স থাকে। এমতাবস্থায় আপনাদের সহযোগিতার আবশ্যকতা আছে। আপনারা যেভাবে আমাদের সহযোগিতা করতে পারেন সেটা হচ্ছে- আপনারা আপনাদের জানালার গ্রীল ডাবল শীট দিয়ে তৈরী করতে পারেন। আপনাদের প্রতিবেশীদের সাথে সৌহার্দ্য ও নিবিড় সম্পর্ক স্থাপন করতে পারেন। প্রতিবেশীদের মোবাইল নাম্বার আপনাদের ডায়াল কলে রেখে দিবেন। দুর্ঘটনার কবলে পড়ার সাথে সাথে ডায়াল দিবেন। প্রয়োজনে থানার ওসি এবং ডিউটি অফিসারের নাম্বার ডায়ালে রেখে দিবেন। কোনভাবে ভীতসন্ত্রস্ত হওয়া যাবে না। ভীত-সন্ত্রস্ত হলেই বড় ধরনের ক্ষতি হবে। তাই সাহসিকতার সাথে অন্যের সহযোগিতা চাইতে ডায়াল করে চিৎকার করবেন যাতে প্রতিবেশীরা জেগে উঠতে পারে। অপরাধীদের পাকড়াও করবেন, প্রয়োজনে সর্বোচ্চ বলপ্রয়োগ করবেন।

মাদক সেবিদের নামের তালিকা প্রস্তুত করুন। থানার সামনে তথ্য বক্স রাখা হবে। মাদকসেবি ও ব্যবসায়ীদের তালিকা -নাম, ঠিকানা সম্ভব হলে তাদের মোবাইল নম্বর সহ বক্সে রেখে দিবেন। সকল তথ্য গোপন রাখার নিশ্চয়তা দিচ্ছি।

পরস্পর নিজেদের মধ্যে বিবাদ দেখা দিলে সর্বোচ্চ ধৈর্য্য ধারণ করবেন এবং থানায় অভিযোগ করবেন।

সাম্প্রতি লক্ষ্য করছি, ১২ বছর থেকে ১৮ বছরের কমবয়সী মেয়েদের বাড়ি ছেড়ে চলে যাওয়ার প্রবণতা বেড়েছে। এ ক্ষেত্রে অপ্রাপ্ত বয়স্কা মেয়েদের সঠিক বুঝ দিতে হবে। তাদের উপর নজর রাখতে হবে। তাদের পড়াশোনার উপর চাপ দিতে হবে। যারা পড়াশোনা করছে না, তাদের কুটীরশিল্পের কাজ শিখিয়ে কাজের মধ্যে রেখে দিতে হবে। তাদের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন-২০০০ এবং শিশু আইন-২০১৩ সম্পর্কে জ্ঞান দিতে হবে।

মেয়েদের পাশাপাশি ছেলেদের দিকেও নজর দিতে হবে। তারা বখে যাচ্ছে কি না, সেদিকে সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে।নিজের স্ত্রীকে অবহেলা করবেন না। আপনার অবহেলার কারণে আপনার সন্তান মা-বাবা থেকে বিচ্ছিন্ন হতে পারে। স্ত্রীরা স্বামীর প্রতি অনুরাগী হবেন। স্বামীকে অবজ্ঞা করলে স্বামী ঘরের প্রতি বিতৃষ্ণা হয়ে বিভ্রান্ত হতে পারে। তাই স্বামীর প্রতি যত্নশীল হোন। প্রবাসীদের স্ত্রীদের প্রতি নসিহত হচ্ছে যে, আপনারা স্বামীদের ঠকাবেন না। একইভাবে প্রবাসীদের প্রতি নসিহত বছরে দশ মাস কাজ করে কমপক্ষে দুই মাস স্ত্রী ও সন্তানদের সময় দিন। অধিক আয় করতে গিয়ে সংসার ধ্বংস হতে পারে।

সবার প্রতি উদাত্ত আহ্বান, আপনারা শপথবদ্ধ হোন যে, ‘নিজে অপরাধ করবো না এবং অপরকে অপরাধ করতে দিব না। ধৈর্য্য ধারণ করে জীবন যাপন করবো। আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হবো। পুলিশকে আইনপ্রয়োগে সহযোগিতা করবো।