গাজীপুর প্রতিনিধি: আলামিন। 

গাজীপুরের শ্রীপুরে মাওনা ইউনিয়নের কপাটিয়াপাড়া জোনাকি মোড় এলাকায় চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের হামলায় বৃদ্ধ নুরুল মিয়া গুরুতর আহত অবস্থায় শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেসে ভর্তি আছে।

০১/১২/২৫ ইং দুপুর অনুমান ১ ঘটিকার সময় কপাটিয়া সিঙ্গার দিঘী এলাকার ১/মোঃ নাজমুল (২৮),পিতা মোঃ মজিবর, ২/মোঃ আবুল (৪৫),পিতা মোঃ মুসলেম,৩/মোঃ শান্ত, পিতা অজ্ঞাত, ৪/মোঃ রনি, পিতা অজ্ঞাত সহ ৮/১০জন সন্ত্রাসী দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে নুরুল মিয়ার ওপর হামলা করে। স্থানীয় তথ্যসূত্রে জানা যায়, হঠাৎ করে দেশীয় অস্ত্র রামদা লাঠি সোটা নিয়ে নুরুল মিয়ার ওপর হামলা করলে বাঁচার জন্য নুরুল মিয়ার আত্মচিৎকারে তারা ছুটে আসে।

ওই সময় স্থানীয়রা সন্ত্রাসীদের নিকট থেকে দুটি রামদা এবং একটি মোটরসাইকেল আটক করে পরবর্তীতে পুলিশে সুপর্ধ করে। পুলিশ দুটি রামদা এবং একটি মোটরসাইকেল থানায় নিয়ে যায়।

আহত নুরুল মিয়া বলেন, আমার বাড়ির পশ্চিম পার্শ্বে আমি ধান শুকাতে ছিলাম। ওই সময় হঠাৎ করে সন্ত্রাসীরা পিছন দিক দিয়ে আমার ওপর হামলা করে এবং দা-লাঠি দিয়ে হামলা করতে থাকে। আমার চিৎকার আমার পরিবারের লোকজন এবং এলাকাবাসী সন্ত্রাসীদের হাত থেকে উদ্ধার করে এবং শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করে। তারপর চিহ্নিত এবং পরিচিত ওই সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে থানায় আমি একটি অভিযোগ ধায়ের করি। দুঃখের বিষয় এখন পর্যন্ত প্রশাসনের কোন প্রকার কার্যকরী কার্যক্রম দেখতে পাচ্ছি না।

আফসোস করে বৃদ্ধ নুরুল মিয়া বলেন, আমি কি আদৌ বিচার পাবো!!আহত নুরুল মিয়ার ছেলে বলেন, আমি বাড়িতে ছিলাম না। খবর পেয়ে দৌড়ে বাড়িতে এসে দেখি আমার বাবার শরীর রক্তাক্ত। বিভিন্ন স্থানে কুবের দাগ। এলাকাবাসী সহযোগিতা না করলে হয়তো ওই সন্ত্রাসীরা আমার বাবাকে মেরে ফেলতো। কেন আমার বাবাকে তারা মেরেছে তা আমি জানিনা। আমি তার ন্যায় বিচার চাই। শিউলি আক্তার বলেন, বাবার আত্মচিৎকারে আমি দৌড়ে বাবার নিকট যাই। নাজমুল নামের ছেলেটি রামদা দিয়ে আমার বাবার উপর কুব জারে।

তখন আমি দিকবেদিক হইয়া ওই রামদা ধরে ফেলি। অন্য সন্ত্রাসীরা আমার বাবার শরীরের বিভিন্ন স্থানে রামদা দিয়ে কোপাতে থাকে। পরে এলাকাবাসী সন্ত্রাসীদের হাত থেকে আমাদের সকলকে উদ্ধার করে। ওই সন্ত্রাসীরা আমার শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে এবং আমার শ্লীলতাহানী করে। আমি এখন অসুস্থ। আমার বৃদ্ধ মাকেও তারা ছাড় দেইনি। মাকেও অনেক মারধোর করে। মায়ের গলায় একটি এক ভরি ওজনের স্বর্ণের চেইন সন্ত্রাসীরা নিয়ে এলাকাবাসীর ধাওয়া খেয়ে পালিয়ে যায়।

আহত নুরুল মিয়ার স্ত্রী বলেন, আমি আমার স্বামীকে বাঁচানোর জন্য দৌড়ে যাই। স্বামীকে রক্তাক্ত অবস্থায় দেখি। একজনের হাতে পিস্তল দেখতে পাই।

আমাকেও অনেক মারধোর করে। সন্ত্রাসীরা বিভিন্ন ধরনের হুমকি ধামকি দিয়ে যাচ্ছে। বর্তমানে আমরা নিরাপত্তাহীনতায় আছি। অভিযুগের তিন দিন পার হলেও এখন পর্যন্ত পুলিশ মামলা নেইনি।

এই সন্ত্রাসীরা এলাকায় সর্বসময় মাদক সেবন করে এবং মাদকের ব্যবসা করে। এ বিষয়ে শ্রীপুর মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ আব্দুল বারিক বলেন, গুরুত্বের সাথে বিষয়টি দেখা হচ্ছে এবং তদন্ত চলমান। তদন্ত শেষে দোষীদের আইনের আওতাই আনা হবে।