
শ্রী মিশুক চন্দ্র ভুঁইয়া পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধি।
পটুয়াখালী জেলা গলাচিপা উপজেলা উলানিয়া বন্দর রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মিথ্যা হত্যা মামলা থেকে অব্যাহতি পাওয়া বিএনপি নেতৃবৃন্দকে, প্রাঙ্গণে হাজারো নেতাকর্মীর উপস্থিতিতে এ আয়োজন করা হয়। বিএনপির সকল প্রবীণ ও নবীনদের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে,
পটুয়াখালী জেলা গলাচিপা উপজেলা থানাধীন উলানিয়া বন্দরে বিএনপির সকল প্রবীণ ও নবীনদের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি জনাব মোঃ আলহাজ্ব শিপলু খান সাবেক চেয়ারম্যান ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক, জেলা যুবদল, পটুয়াখালী। বিশেষ অতিথি বীর মুক্তিযোদ্ধা জনাব সোহরাব হোসেন মিয়া, সাবেক ছাত্র দল সাধারণ সম্পাদক বর্তমান যুবদলের নেতা এস এম সোহাগ রানা , গলাচিপা উপজেলা বিএন পি। বিশেষ অতিথি জনাব মোঃ রফিকুল ইসলাম খান সাবেক সভাপতি, গলাচিপা পৌর বিএনপি সাবেক পৌর কাউন্সিলর। আরো বিশেষ অতিথি জনাব আব্দুস সোবাহান মিয়া সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, গলাচিপা উপজেলা বিএনপি। বিশেষ অতিথি জনাব মোঃ মনিরুজ্জামান নেছার সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক, গলাচিপা পৌর বিএমপি। বিশেষ অতিথি জনাবা মোসাঃ রেনু আক্তার সদস্য, পটুয়াখালী জেলা মহিলা দল সাবেক সভানেত্রী উপজেলা মহিলা দল ও সাবেক সভাপতি, চর বিশ্বাস ইউনিয়ন বিএনপি। বিশেষ অতিথি জনাব মোঃ শাহাবুদ্দিন সিকদার যুগ্ন আহবায়ক, গলাচিপা উপজেলা যুবদল ও সাবেক পৌর কাউন্সিলর। বিশেষ অতিথি জনাব শায়েব আলী মাতুব্বর যুগ্ন আহবায়ক, গলাচিপা উপজেলা যুবদল ও সাবেক পৌর কাউন্সিলর। বিশেষ অতিথি জনাব সোহাগ মিয়া যুগ্ন আহবায়ক গলাচিপা উপজেলা যুবদল ও সাবেক পৌর কাউন্সিলর আরো উপস্থিত থাকেন ৬ নং ডাকুয়া ইউনিয়ন ও ৫ নং রতনদী তালতলী ইউনিয়নের বিএনপির প্রবীণ ও তরুণ সকল অঙ্গ সহযোগি সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। সভাপতিত্ব করেনঃ জনাব মোঃ আলহাজ্ব ফজলে আলী খান সাবেক ইউ পি সদস্য ১ ২ ৩ নং ওয়ার্ড ডাকুয়া।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বি এন পি জনাব,মোঃ আলহাজ্ব শাজাহান খান, তার একমাত্র পুত্র মোঃ শিপলু খান বক্তব্যে তিনি বলেন—মিথ্যা মামলা দিয়ে বিএনপি নেতাকর্মীদের দমিয়ে রাখা যায় না। প্রতিহিংসার রাজনীতির মাধ্যমে সত্যকে আটকে রাখা যায় না—শেষ পর্যন্ত ন্যায়বিচারই বিজয়ী হয়।”
তিনি আরও বলেন—এদেশে সবচেয়ে বেশি নির্যাতিত হয়েছেন বেগম খালেদা জিয়া এবং তারেক রহমান। দীর্ঘ ১৭ বছর ধরে বহু নেতাকর্মী জেল-জুলুম সহ্য করেছেন। সেই সময়ে তাদের পাশে দাঁড়াতে কেউ ১০ টাকাও দেয়নি। অথচ আজ একই মানুষরা নমিনেশন দাবিতে উচ্চস্বরে কথা বলেন। দলের জন্য ত্যাগের কোনো বিকল্প নেই—ত্যাগীরাই শেষ পর্যন্ত সম্মান পায়।”
প্রধান অতিথি অভিযোগ করে বলেন, রাজনৈতিক প্রতিহিংসার লক্ষ্যেই এসব মিথ্যা মামলা সাজানো হয়েছিল। এসব মামলায় বহু পরিবার আর্থিক ও মানসিক ক্ষতির মুখে পড়েছে। তবে আদালত প্রমাণ করেছে—সত্যকে কোনদিনই চাপা রাখা যায় না।
বক্তারা বলেন, ত্যাগী নেতাদের অব্যাহতি BNP-র আন্দোলন-সংগ্রামেরই সাফল্য। দেশের গণতান্ত্রিক পরিবেশ নষ্ট করা, ভিন্নমতের মানুষকে দমন করা এবং মিথ্যা মামলায় হয়রানি—এসব বছরের পর বছর ধরে চলেছে বলে তারা অভিযোগ করেন।অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন—উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি, এছাড়াও উপজেলা, পৌর ও ইউনিয়ন পর্যায়ের বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের শতাধিক নেতা-কর্মী উপস্থিত ছিলেন।
বক্তারা আরও বলেন—এই অব্যাহতি প্রমাণ করেছে—বিচারব্যবস্থার ওপর এখনো জনগণের আস্থা রাখার জায়গা আছে। যারা ত্যাগ করে দলের পাশে ছিলেন—বিএনপির ইতিহাসে তাদের নাম সোনালি অক্ষরে লেখা থাকবে।”
ভরে যায় নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের উপস্থিতিতে। সংবর্ধিত নেতাদের ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানানো হয় এবং তাদের দীর্ঘ রাজনৈতিক সংগ্রামের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়।শেষে প্রধান অতিথিসহ বক্তারা দলীয় ঐক্যের ওপর গুরুত্বারোপ করেন এবং গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলনে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান।